সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
কক্সবাজারের ঝিলংজা ও পৌরসভার মধ্যবর্তী পেতাসওদাগর পাড়া, বড়ুয়া পাড়া এবং চান্দের পাড়া এলাকার বিস্তীর্ণ কৃষিজমি বাঁকখালীর লোনা পানি থেকে রক্ষার দাবিতে স্লুইচগেট নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিইএইচআরডিএফ), স্থানীয় কৃষক ও বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে সোমবার সকাল ১১টায় পেতাসওদাগর পাড়ার প্রধান সড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নদী পরিব্রাজক দলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

সিইএইচআরডিএফ-এর এলডিএস ডিভিশনের উপপ্রধান আব্দুল মান্নান রানার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিইএইচআরডিএফ-এর উপপ্রধান (সমন্বয়) এসওএস ডিভিশনের রুহুল আমিন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, একটিমাত্র সুইচগেটের অভাবে বাঁকখালী নদীর লোনা পানি প্রতিবছর বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে প্রবেশ করে শত শত একর জমির ধান ও সবজি নষ্ট করে দিচ্ছে। স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, “সারাবছর আমরা পরিশ্রম করে ফসল ফলাই, কিন্তু লোনা পানি এসে তা নষ্ট করে দেয়। এই অবস্থায় আমাদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।”

একই কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “লবণাক্ততার কারণে শুধু কৃষিজমি নয়, এখানকার পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত সুইচগেট নির্মাণ না করা হলে আমাদের চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে।”

সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, “বাঁকখালীর মতো নদীসংলগ্ন এলাকায় লবণাক্ততার সমস্যা দীর্ঘদিনের। এটি কৃষি উৎপাদন এবং স্থানীয় অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সুইচগেট নির্মাণ অপরিহার্য। এটি শুধু কৃষকদের জীবিকা রক্ষার জন্য নয়, বরং এলাকার টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্যও অত্যন্ত জরুরি।”

বক্তারা সরকারের কাছে দ্রুত সুইচগেট নির্মাণের দাবি জানান। তারা বলেন, “প্রতিবছর ফসল নষ্ট হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা চরম অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনতিবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ভবিষ্যতে এ এলাকার কৃষিজমি পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে পড়বে।”

মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশে স্থানীয় কৃষক, সচেতন নাগরিক, জনপ্রতিনিধি এবং সিইএইচআরডিএফ-এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।